গত ৪ মে রোজ শনিবার যথারীতি সকালের রিপোর্টিং শেষ করে আমার কলিগ সমির চন্দ্র বিশ্বাস এর সাথে তার মোটরসাইকেল যোগে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে যাচ্ছিলাম। এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো তা হচ্ছে এই সমির আমার হার্ট অপারেশনের সময় আমাকে রক্ত দিয়ে আমার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে। তার এই ঋণ আমি জীবনেও শোধ করতে পারবনা। যাক আসল কথায় আসি।
ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। ইচ্ছে ছিলো ফনি আক্রমণ করার আগেই আমরা ডেন্টাল কলেজে পৌঁছে যাব। আমরা মিরপুর-১৩ PSC কনভেনশন হলের সামনে পৌঁছালে একটি দূর্ঘটনার সম্মুখীন হই। মেইনরোড এর নিচ দিয়ে ক্যাবল লাইন বসানোর পর রাস্তা ভালোভাবে মেরামত করা ছিল না। পুরো রাস্তায় আড়া আড়ি ভাবে চিকন একটা গর্ত ছিল। আমাদের ঠিক সামনে একটা বাইক যাচ্ছিল এবং গর্তের সামনে সেই বাইকটা হঠাৎ জোরে ব্রেক করে। সম্ভবত তার হাইড্রোলিক ব্রেক ছিল। সে দ্রুত ব্রেক করতে পারলেও আমার কলিগ ব্রেক করতে করতে তার গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা লেগে যায় এবং আমরা দুজন ছিটকে ডানপাশে রাস্তায় পড়ে যাই। মোটরসাইকেল এর ভিতর আমাদের দুজনেরই ডান পা আটকে যায় এবং আমরা উঠতে পারছিলাম না। হেলমেট এবং মোবাইল রাস্তায় ছিটকে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এমন সময় আশ পাশ থেকে কয়েক জন লোক ছুটে এসে মোটরসাইকেল এর ভিতর থেকে আমাদেরকে টেনে তুলে। পায়ের ব্যাথায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। হাতের তালু দিয়ে রক্ত পড়ছিল। আর সমিরের গালে, ডান হাতের কনুই ও ডান পায়ে ব্যাথা লেগেছে। এমন সময় এক মাইক্রোবাসের ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে এক বোতল পানি দিয়ে গেল। বলল: ভাই রক্ত পরিষ্কার করেন আর ব্যাথার জায়গায় পানি ঢালেন, ব্যাথা কমে যাবে। আমরা রক্ত পরিষ্কার করতেছি এটা দেখে আর এক পিক আপ ভ্যানের ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে ডেটলের বোতল বের করে দিলেন..'ভাই, ক্ষতস্থানে ডেটল দেন জীবাণু মুক্ত হবে।
ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। ইচ্ছে ছিলো ফনি আক্রমণ করার আগেই আমরা ডেন্টাল কলেজে পৌঁছে যাব। আমরা মিরপুর-১৩ PSC কনভেনশন হলের সামনে পৌঁছালে একটি দূর্ঘটনার সম্মুখীন হই। মেইনরোড এর নিচ দিয়ে ক্যাবল লাইন বসানোর পর রাস্তা ভালোভাবে মেরামত করা ছিল না। পুরো রাস্তায় আড়া আড়ি ভাবে চিকন একটা গর্ত ছিল। আমাদের ঠিক সামনে একটা বাইক যাচ্ছিল এবং গর্তের সামনে সেই বাইকটা হঠাৎ জোরে ব্রেক করে। সম্ভবত তার হাইড্রোলিক ব্রেক ছিল। সে দ্রুত ব্রেক করতে পারলেও আমার কলিগ ব্রেক করতে করতে তার গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা লেগে যায় এবং আমরা দুজন ছিটকে ডানপাশে রাস্তায় পড়ে যাই। মোটরসাইকেল এর ভিতর আমাদের দুজনেরই ডান পা আটকে যায় এবং আমরা উঠতে পারছিলাম না। হেলমেট এবং মোবাইল রাস্তায় ছিটকে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এমন সময় আশ পাশ থেকে কয়েক জন লোক ছুটে এসে মোটরসাইকেল এর ভিতর থেকে আমাদেরকে টেনে তুলে। পায়ের ব্যাথায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। হাতের তালু দিয়ে রক্ত পড়ছিল। আর সমিরের গালে, ডান হাতের কনুই ও ডান পায়ে ব্যাথা লেগেছে। এমন সময় এক মাইক্রোবাসের ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে এক বোতল পানি দিয়ে গেল। বলল: ভাই রক্ত পরিষ্কার করেন আর ব্যাথার জায়গায় পানি ঢালেন, ব্যাথা কমে যাবে। আমরা রক্ত পরিষ্কার করতেছি এটা দেখে আর এক পিক আপ ভ্যানের ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে ডেটলের বোতল বের করে দিলেন..'ভাই, ক্ষতস্থানে ডেটল দেন জীবাণু মুক্ত হবে।
আমি আবেগ আপ্লুত হলাম এবং রিতিমত পুলকিত হলাম। কে বলে আমাদের মানবতা হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেক সময় ড্রাইভারদেরকে অনেক খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করি। মনে হয় এটা ঠিক নয়। তারাও তো মানুষ। যাক, আমরা ডেটল নিয়ে তাকে বিদায় দিলাম এবং পাশের একটি ফার্মেসিতে গিয়ে ব্যান্ডেজ করে বাসায় চলে আসলাম।
আমি একটি কথা বলার জন্যই মূলত পোস্ট টি লিখলাম, তা হলো মানুষের মানবতা এখনো হারিয়ে যায়নি। ঐ দিন যারা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে ড্রাইভার দুই জন ভাইয়ের মানবতা আমাকে পুলকিত করেছে।
ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ রাত্রি।
No comments:
Post a Comment